,

সুন্দরবনের নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরী !

Exif_JPEG_420

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির: প্রাকৃতিক সৌর্ন্দযের লীলাভূমি সুন্দরবন।বাগেরহাটের সুন্দরবনের এক শ্রেণির অসাধু বন-কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে বন সংলগ্ন এলাকার বিভিন্নস্থানে নৌকা তৈরীতে কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

সম্প্রতি উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর (রসুলপুর) এলাকার বাসিন্দা গোলপাতা ব্যবসায়ী মো. আফজাল হোসেন চাপরাশীর নির্মাণাধীন একটি নৌকায় প্রকাশ্যে কিছু সুন্দরী কাঠের ব্যাবহার দেখে স্থানীয় কতিপয় বাসিন্দারা বন-বিভাগকে অবহিত করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, আসন্ন গোলপাতা মৌসুমকে সামনে রেখে পুর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের আওতাধীন ভরাট হওয়া ভোলা নদীর তীর সংলগ্ন দাসের ভাড়ানি টহল ফাঁড়ির সামনে উপজেলার একাধিক ব্যবসায়ীর পুরাতন নৌকা মেরামতে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা।

নৌকা তৈরীতে নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠের ব্যবহারের বিষয় জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই শ্রমিক বলেন, মালিকরা মালামাল সরবারহ করেন আমরা শুধু নৌকা তৈরীর কাজ করি। সে ক্ষেত্রে কে কোন কাঠ দিল তা আমাদের দেখার বিষয় না। কারণ আমরা শ্রমিকরা কাজ করি দিন শেষে মজুরি পাই। সে ক্ষেত্রে সুন্দরী কাঠ দিলেও আমরা বাঁধা দিতে পারি না। তাছাড়া এখানে বন-বিভাগের একটি অফিস আছে। নৌকা তৈরীর ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে বাঁধা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের।

অপরদিকে নাম গোপন রাখার শর্তে, বন সংলগ্ন এলাকার কয়েক জনবাসিন্দা বলেন, আফজাল চাপরাশী দাসের ভাড়ানী টহল ফাঁড়িসহ বন-বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীকে ম্যানেজ করে বিশাল আকৃতির ওই নৌকায় অনেক সুন্দরী কাঠ ব্যবহার করলেও বনরক্ষীরা তা দেখেও তা না দেখার ভান করে চলছেন।

এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী মো. আফজাল হোসেন চাপরাশী বলেন, আমাকে না জানিয়ে আমার নৌকাটির মধ্যে ৩/৪ টুকরা পুরাতন সুন্দরী কাঠ শ্রমিকরা লাগিয়ে ফেলেছে। তবে বন-বিভাগের সাথে কথা হয়েছে ২-৩ দিনের মধ্যে ওই কাঠ খুলে তাদের কাছে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে, দাসের ভাড়ানী টহল ফাড়ির (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. ইউনুস আলী জানান, যোগসাজশের বিষয়টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। তবে নৌকাটিতে কিছু কাঠ আছে তা আফজাল নিজেই স্বীকার করেছেন। তাছাড়া তিনি দু’দিন সময় নিয়েছেন, এ সময়ের মধ্যে কাঠগুলো খুলে দিবেন। সে ক্ষেত্রে কোন তালবাহানা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর